ডাম্পারের সাথে বাইকের সংঘর্ষ , মৃত ১ : মৃতদেহ রেখে রাস্তা অবরোধ

16th January 2021 2:57 pm বাঁকুড়া
ডাম্পারের সাথে বাইকের সংঘর্ষ , মৃত ১ : মৃতদেহ রেখে রাস্তা অবরোধ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  অতিরিক্ত গতির বলি এক, আহত আরো এক। ঘটনাস্থলে মৃতদেহ ফেলে রেখে অবরোধ স্থানীয়দের, নির্বিকার পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া পাত্রসায়ের থানার গাঁপুকুর এলাকায়। ঘটনায় মৃত্যু হয় সাগর কেওড়া নামে বছর সাতেরোর এক যুবকের। আহত হয়েছেন আরেকজন বাইক আরোহী। 

স্থানীয় সূত্রে খবর, স্থানীয় তালসাগরা গ্রামের তিন যুবক বাইকে করে জামকুড়ি বাজার এলাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় উল্টো দিক থেকে আসা একটি ডাম্পারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় এক যুবকের, আহত হয়েছেন আরেক যুবক। আহত যুবককে উদ্ধার করে স্থানীয়রাই প্রথমে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠায়। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে স্থানান্তরিত করা হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অতিরিক্ত গতির কারণেই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলেই দাবি স্থানীয়দের। এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে অবরোধ। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পাত্রসায়ের থানার পুলিশ। কিন্তু এখনো পর্যন্ত মৃতদেহ আটকে অবরোধ চললেও, অবরোধ তোলার ব্যাপারে কোনরকম হস্তক্ষেপ করেনি পুলিশ প্রশাসন। অবরোধের জেরে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে যানবাহন। স্থানীয়দের দাবি অবিলম্বে এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করুক পুলিশ। দেওয়া হোক ক্ষতিপূরণের অর্থ তবেই তোলা হবে মৃতদেহ। ঘাতক ডাম্পারটিকে আটক করা গেলেও, চালক ও খালাসী পলাতক।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।